Bosonto Porag - Mizanur Rahman Shamsheri, মিজানুর রহমান শমশেরী (read dune TXT) 📗
Book online «Bosonto Porag - Mizanur Rahman Shamsheri, মিজানুর রহমান শমশেরী (read dune TXT) 📗». Author Mizanur Rahman Shamsheri, মিজানুর রহমান শমশেরী
মিজানুর রহমান শমশেরী
ই-বুক
সম্পাদনা
খলিল মাহ্মুদ
ব্লগার সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
প্রিন্টার্স স্লাইডবসন্ত পরাগ
কবিতা
মিজানুর রহমান শমশেরী
সম্পাদনা
খলিল মাহ্মুদ
ব্লগার সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
প্রথম প্রকাশ : ই-বুক হিসাবে, ১৬ জুন ২০১৮
www.bookrix.com-এ প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২০
ই-বুকের স্বত্ব : সম্পাদক (খলিল মাহ্মুদ)
কবির ছবি : ফেইসবুকে কবির বন্ধু, বীর মুক্তিযোদ্ধা
মোহাম্মদ বায়েজিদ মীর-এর টাইম লাইন থেকে নেয়া
সম্পাদক খলিল মাহ্মুদের প্রকাশিত বইসমূহ :
স্খলন, উপন্যাস, একুশে বইমেলা ২০০৩
অন্তরবাসিনী, উপন্যাস, একুশে বইমেলা ২০০৪
খ্যাতির লাগিয়া, উপন্যাস, একুশে বইমেলা ২০০৪
সুগন্ধি রুমাল, ছোটোগল্প সংকলন, একুশে বইমেলা ২০০৪
অন্বেষা, কাব্যগ্রন্থ, একুশে বইমেলা ২০০৫
আই-ফ্রেন্ড, উপন্যাস, একুশে বইমেলা ২০০৫
রীতু আরাশিগে, অণু-উপন্যাস, একুশে বইমেলা ২০০৬
নিঃসঙ্গ সময়ের সুখপাখি, কাব্যগ্রন্থ, একুশে বইমেলা ২০০৭
অসম্পর্কের ঋণ, কাব্যগ্রন্থ, একুশে বইমেলা ২০১৫
কালের চিহ্ন, ছোটোগল্প সঙ্কলন, একুশে বইমেলা ২০১৬
সম্পাদক খলিল মাহ্মুদের ই-বুক সমূহ :
আজগুবি ছড়া, ছড়া, ২৬ মার্চ ২০১৮
ক্ষণজন্মা অপাঙ্ক্তেয়রা, কবিতা, ২৮ মার্চ ২০১৮/০১ এপ্রিল ২০১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, কবিতা, ০১ এপ্রিল ২০১৮
অয়োময় সুপুরুষ, কবিতা, ৩১ মার্চ ২০১৮/০১ এপ্রিল ২০১৮
সোনালি, কবিতা, ০২ এপ্রিল ২০১৮/০৩ এপ্রিল ২০১৮
লৌকিক রহস্য; অথবা অলৌকিক, উপন্যাস, ০৩ এপ্রিল ২০১৮
তারকাজরিপ ব্লগীয় রঙ্গ, রম্যরচনা, ০৫ এপ্রিল ২০১৮
সুচিত্রা সেন, রম্যকবিতা, ০৬ এপ্রিল ২০১৮
উদ্ধৃতি
"ওরই লাবণ্যে ভরে যেত আমার সুশুভ্র হৃদয়-কান্তার
ও আমার চিরচেনা। যৌবনের অদম্য উৎসাহ।
তাই এই নিঃসঙ্গতায় নির্জন কুটির হতে
পাঠিয়ে দিলাম রক্তিম অভিবাদন।"
কবিতা : রক্তিম অভিবাদন, মিজানুর রহমান শমশেরী, জীবন যন্ত্রণা
মিজানুর রহমান শমশেরী রচিত গ্রন্থসমূহ
অশ্রুমালা, কাহিনিকাব্য,৭০-এর দশকে প্রকাশিত (সুনির্দিষ্ট সাল বা অন্যান্য
তথ্য সম্পাদকের জানা নেই)
সম্পাদক যে পাণ্ডুলিপি থেকে ‘জীবন যন্ত্রণা’ সংগ্রহ করেছেন,
সেই পাণ্ডুলিপিতে নীচের বইগুলোর নাম ছিল :
জীবন যন্ত্রণা, কাব্য
বসন্ত পরাগ, কাব্য
একাত্তরের চিঠি, কাব্য
শিকল ভাঙার গান, গান
হিজলফুলের মালা, কাহিনিকাব্য
সবগুলো বইতে সর্বমোট ১৩৭টি কবিতা, ৪০টি ছড়া ও ৫২টি গান রয়েছে।
কবি-পরিচিতিকবি মিজানুর রহমান শমশেরী (ডাকনাম আব্দুল মালেক) ৮ই কার্তিক ১৩৫৩ বঙ্গাব্দে (১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে) ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার অন্তর্গত সুতারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২৯ আষাঢ় ১৩৮৮ বঙ্গাব্দে (১৪ জুলাই ১৯৮১) হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে অকালে প্রয়াত হোন। তাঁর পিতার নাম শমশের উদ্দিন। সর্বজ্যেষ্ঠা এক বোন ও পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে শমশেরী ছিলেন পঞ্চম।
একান্ত কৈশোর থেকেই লেখালেখির প্রতি শমশেরীর আগ্রহ গড়ে ওঠে। সাহিত্য সাধনা ও সাহিত্যচর্চা ছিল তাঁর প্রাণ। স্কুল-কলেজের বন্ধুবান্ধব ও এলাকার তরুণ-কিশোরদের নিয়ে গড়ে তোলেন সাহিত্যচর্চা বিষয়ক আসর ‘পদ্মাপার খেলাঘর’। এর পূর্বে আদমদজী নগরের ‘অগ্নিকন্যা খেলাঘর’ আসরের সাহিত্য সম্পাদক হিসাবে তিনি তাঁর খেলাঘর জীবন শুরু করেন
শমশেরী ৭০ দশকের কবি। ধূমকেতু, দৈনিক বাংলার বাণী, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সমাচারসহ তদানীন্তন গুটি কতক জাতীয় দৈনিকের সবকটাতেই এবং অন্যান্য লিটল ম্যাগাজিন ও সাময়িকীতে তিনি নিয়মিত লিখতেন। দৈনিক বাংলার বাণীতে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে উপ-সম্পাদকীয় লিখতেন।
তাঁর জীবদ্দশায় একটিমাত্র কাহিনিকাব্য ‘অশ্রুমালা’ প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপির আয়তন সুবিশাল।
শমশেরীর ছোটোভাই রমিজ উদ্দিনই তাঁর ভাইদের মধ্যে একমাত্র জীবিত ব্যক্তি। কবির ঘনিষ্ঠ ও সারাবেলার সঙ্গী, বয়োকনিষ্ঠ দুই শুভাকাঙ্ক্ষী ও ভক্ত কাজী বায়েজিদ হোসেন ও মোঃ জাহিদুল ইসলাম খানের (ওরা দুজন আমার সহপাঠী। জাহিদ ২০১১ সালে মৃত্যুবরণ করেন) মাধ্যমে বহুদিন পর্যন্ত চেষ্টা করার পর রমিজ ভাইয়ের সাথে আমার যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তাঁর কাছ থেকে আমি যা যা গ্রহণ করি তা হলো কবির স্বহস্ত-লিখিত ও তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও অন্তরঙ্গ বন্ধু জনাব মোহাম্মদ বায়েজিদ মীর-এর চিত্রাংকনসমৃদ্ধ একটি বিশাল পাণ্ডুলিপি (জনাব মোহাম্মদ বায়েজিদ মীর স্থানীয় গাজীরটেক প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা) ও কবির মৃত্যুর পর পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত শোক-বার্তার ফটোকপি। ২০ আগস্ট ১৯৮১ তারিখে দেওয়ান আবদুল হামিদ (সাহিত্যরত্ন) এম.এ.-এর সভাপতিত্বে মগবাজারস্থ বাংলাদেশ সাংবাদিক পরিষদে কবির ওপর স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে অধ্যক্ষ দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানের প্রচারপত্রের একটি ফটোকপি আমাকে দেয়া হয়। আর দেয়া হয় কবির একটি সাদাকালো পাসপোর্ট আকারের ছবি।
রমিজ ভাইয়ের হাতে এই পাণ্ডুলিপিটি দেখামাত্রই আমার মনে পড়ে যায়, কবির মৃত্যুর দ্বিতীয় বা তৃতীয় বৎসরে এটি খুব সম্ভবত এক দিনের জন্য আমার কাছে রাখার সুযোগ পেয়েছিলাম, একটি অনুষ্ঠানে তাঁর কবিতার ওপর আলোচনার প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য। পৃষ্ঠা উলটে আমার সে সময়ে ভালোলাগা কিছু কবিতা খুঁজতে থাকি। কিন্তু সারা পাণ্ডুলিপি খুঁজেও তা পাই না। তখনই রমিজ ভাই বলেন, দেশের বাড়িতে এর চেয়েও বড়ো বড়ো আরো অন্তত দুটি পাণ্ডুলিপি আছে, পত্রিকার কাটিং বোঝাই করা বাক্স আছে। আমার ভুল ভাঙে, বিশ বছর আগে দেখা সেই পাণ্ডুলিপি এটি নয়।
এই পাণ্ডুলিপিতে যে বইগুলোর নাম উল্লেখ আছে তা হলো : জীবন যন্ত্রণা, বসন্ত পরাগ, একাত্তরের চিঠি, শিকল ভাঙার গান (গান) ও হিজলফুলের মালা (কাহিনিকাব্য)। এখানে রয়েছে সর্বমোট ১৩৭টি কবিতা, ৪০টি ছড়া ও ৫২টি গান।
শমশেরীর কবিতায় কঠিন জীবনযুদ্ধ ও ঘাত-প্রতিঘাতের এক চরম নিষ্ঠুর বাস্তবচিত্র ফুটে উঠেছিল।
আগেই বলেছি, শমশেরী ৭০ দশকের কবি। নির্মাণ ও বিষয়-বস্তু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেই সময়ের কবিতার সাথে আজকের দিনের কবিতার বিস্তর ব্যবধান। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর কবিতাগুলো অত্যন্ত আধুনিক, সতেজ, সজিব, সাবলীল ও প্রাণবন্ত – মনে হয়, এই মাত্র কবিতাটি লিখে কবি টেবিল ছেড়ে উঠলেন। গান ও ছড়া রচনায়ও কবির দক্ষতা ছিল খুব উঁচু মানের।
রমিজ ভাইয়ের কাছ থেক আনা পাণ্ডুলিপিটি রমিজ ভাই তাঁর ছেলেকে পাঠিয়ে ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে আমার কাছ থেকে সংগ্রহ করেন।
২০০২ সাল থেকে আমরা ক্লাসমেটরা ‘সবুজ অঙ্গন’ নামে একটা লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশ করতে থাকি। শমশেরীর পাণ্ডুলিপি আমার হাতে আসার পর থেকেই ওখান থেকে সবুজ অঙ্গনে নিয়মিতভাবে কবিতা, গান ও ছড়া প্রকাশ করতে থাকি। ২০০৫ সালে ‘সবুজ অঙ্গন অণুগ্রন্থ সংকলন’-এ ‘নির্বাচিত ছড়া ও কবিতা’ শিরোনামে শমশেরীর একগুচ্ছ ছড়া-কবিতা ছাপা হয়।
খলিল মাহ্মুদ
সম্পাদক
কবিতাক্রমতুমি কি আমার কথা ভাবো?/১২
তুমি চলে গেছো/১৪
শেষের কবিতা/১৫
তোমার চিঠি/১৮
শেষ চিঠি/১৯
ছন্দপতন/২২
ভাবান্তর/২৪
একলা ডাকে পাখি/২৫
সন্ধ্যাস্মৃতি/২৭
ক্ষণিকা/২৯
তোমার জন্য/৩১
এমন যদি হতো/৩৩
প্রশ্বাস/৩৪
স্মরণিকা/৩৫
বিস্মৃত গান/৩৬
অশ্রুমালিকা/৩৮
সূচনা/৪০
ব্যথার দান/৪১
সমাধান/৪২
হারিয়ে যাওয়ার পালা/৪৩
ফুল/৪৫
যদি বলো/৪৬
শেষ কবিতা/৪৭
চোখের জল/৫০
দুটি মন/৫২
এই মাটি এই মন/৫৪
ধান ক্ষেত : তুমি আর আমি/৫৫
মেঘ/৫৬
হতাম যদি/৫৭
পাঠকের প্রতি/৫৮
তুমি কি আমার কথা ভাবো?
তুমি কি আমার কথা ভাবো?
কঠিন প্রাচীরে কান পেতে শুনি
মুক্তির দিন একদিন আসবেই
সেইদিন তোমাকে আবারো কাছে পাব।
যেখানে সূর্যের সোনালি বিচ্ছুরণ
এখনো হোঁচট খায়
পড়ন্ত বিকেলের বসন্ত যৌবনে
যেখানে ধ্বনিত পাখির কাকলি
প্রাচীরের বাঁধ ভেঙে চলে যাব
তুমি আর আমি পায় পায়
সেই নির্জনতায়।
রাত্রির নিঃসঙ্গতায় একা জেগে আছি
আমার চোখে নেই ঘুম,
চোখের সামনে প্রাচীরের গায়
স্বপ্নের পাখিগুলো ডানা ঝাপটায়
মুক্তির অন্বেষা খুঁজিতেছে পথ
সুপুষ্ট মৌসুম।
এখনো আমার চোখে নেমে আসে
সন্ধ্যার পশ্চিম আকাশ,
পলাশের লাল রঙে রঙিন পদ্মাপার
পারভাঙা তীরে নব কিশলয়ে
পালতোলা নায়ে স্বচ্ছ সলিলে
গোধূলির সুস্পষ্ট প্রকাশ।
এই নির্জনতায় বসে বসে ভাবি
আবারো তোমায় কাছে পাব
গানে আর কবিতায় কাটাবো প্রহর
মধুরাত এনে দিবে চাঁদের সুষমা
তারার মালিকা গেঁথে কবরী সাজাবো।
তুমি কি আমার কথা ভাবো?
তুমি চলে গেছোতুমি চলে গেছো
তাই চলে গেছে স্বপ্নের সে দিনগুলি
তুমি চলে গেছো
তাই দূরে সরে গেছে সন্ধ্যা-গোধূলি।
মেঘের পরতে
লিখা আছে শুধু বাতাসে উড়ানো বেগ
তুমি চলে গেছো
তাই বুঝি আর আসে নি শ্রাবণ মেঘ।
ওই বনপথ
রেখে দিয়েছে আজো বিদায়ী চরণ লিখা
জোনাকি মেয়েরা
তাই বুঝি আর জ্বালে নি প্রদীপ শিখা।
তুমি চলো গেছো
ঝরে গেছে তাই কুসুমের হাসি মুখ
তুমি চলে গেছো
ভরে আছে তাই বেদনায় কচি বুক।
তুমি চলে গেছো
তাই বুঝি আর কলামুচা সেই পাখি
কদলী বনের
ধার ঘেঁষে আর করে নাই ডাকাডাকি।
শেষের কবিতা
Comments (0)