Faisal Story - Md Ehsanul Haque Faisal, Md Enamul Haque, বাড়িয়ে দাও তোমার হাত, নোয়াখাইল্লা রঙ্গ (affordable ebook reader txt) 📗
Book online «Faisal Story - Md Ehsanul Haque Faisal, Md Enamul Haque, বাড়িয়ে দাও তোমার হাত, নোয়াখাইল্লা রঙ্গ (affordable ebook reader txt) 📗». Author Md Ehsanul Haque Faisal, Md Enamul Haque, বাড়িয়ে দাও তোমার হাত, নোয়াখাইল্লা রঙ্গ
মেহেরঃ - আমি কি বিয়ে খেতে যাচ্ছি নাকি? আমি কোনো সাজগোজ করবোনা। জানিসই তো এসবে আমার কি পরিমাণ এলার্জি।
মেহেরের বোনঃ - আপি তাই বলে এভাবে? একটু কাজল, লাইট কালার লিপস্টিক দিবা না?
মেহেরঃ - উমম, একটু কাজল লাগাতে পারি। তুই যখন এতো করে বলছিস।
- মিহু হতাশ হয়ে বললো...
মেহেরের বোনঃ - আচ্ছা তাই লাগাও।
- মেহের চোখে কাজল লাগিয়ে, হাতে হ্যান্ড ওয়াচ, পায়ে লেডিস সু, কাধে লেডিস ব্যাগ। ব্যাস। কিছুক্ষণ পর পর আয়নায় নিজেকে দেখেই চলেছে।
মেহেরের মাঃ মেহের তোর আয়না দেখা শেষ হলে নাস্তা করতে আয়। নয়তো আয়না দেখতে দেখতেই ভার্সিটির ক্লাসের টাইম পেরিয়ে যাবে। সেই সকাল থেকে রেডি হচ্ছিস এখনো হয়না।
মেহেরঃ - আম্মু এক্ষুনি আসছি।
- মেহের শেষবার আয়নায় নিজেকে দেখে নিয়ে নিচে চলে গেলো। নাস্তা করছে তখন ওর মা হলে উঠলো।
মেহেরের মাঃ - মেহের ভালোভাবে থাকিস নতুন জায়গা, নতুন মানুষ। সাবধানে থাকবি। আর গাড়ি নিয়ে যাস।
মেহেরঃ - উফফ, আম্মু। কালকে কি কথা হয়েছিলো?? আমি এখন আর ছোট নই। ভার্সিটির স্টুডেন্ট। যথেষ্ট বড়। আব্বুকে এখন অন্তত আমার পিছ ছাড়তে বলো। আমি গাড়ি নিয়ে যাবোনা। নিজের মতো যাবো।
মেহেরের মাঃ - আচ্ছা যাস। কিন্তু আজকে প্রথম দিন গাড়ি নিয়ে যা। নয়তো তোর আব্বু চেচামেচি করবে।
- মেহের অসহায় ভাবে বললো, আচ্ছা।
- মেহেরের গাড়ি ভার্সিটির সামনে এসে দাড়িয়েছে। মেহের গাড়ি থেকে নেমে বাইরেই দাঁড়িয়ে আছে। ভিতরে ঢুকতে কেমন জানি লাগছে। কিছুটা ভয় কিছুটা সংকোচ। এর আগে ভর্তি হতে বাবার সাথে এসেছে। সেদিন ক্লাসরুমও দেখে গেছে। যাতে পড়ে অসুবিধা না হয়। কিন্তু আজকে ভিতরে যেতে কেমন অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে। নতুন জায়গা, নতুন পরিবেশ, নতুন ক্লাসমেট, নতুন টিচার সব মিলিয়ে একটা অজানা ভয় কাজ করছে। মেহের অনেকটা সাহস সঞ্চার করে ভিতরে প্রবেশ করলো। ভিতরে প্রবেশ করতেই একজন বলে উঠলো,
ছেলেঃ - নিউ ফার্স্ট ইয়ার??
মেহেরঃ - জ্বী।
ছেলেঃ - ওখানে গিয়ে দাড়াও।
মেহেরঃ -কেন?
ছেলেঃ - রুলস ইজ রুলস।
- মেহের কথা না বাড়িয়ে দেখানো জায়গায় গিয়ে দাড়ালো। সেখানে ওর মতো আরও অনেক মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একপাশে একদল ছেলে আর একপাশে একদল মেয়ে। সবার চেহারা থমথমে। মেহের বুঝতে পারলো এখানে কি হতে যাচ্ছে। সবার ভয়ার্ত চেহারা দেখে ওর ও ভয় হতে শুরু করলো।
তখনই ওর নজর গেলো গেইটের দিকে। একটা ছেলে সাদা টিশার্ট, নীল জিন্স, কালো সু, হাতে ওয়াচ, চোখে সানগ্লাস পরে হেটে হেটে এইদিকে আসছে। ওর সাথে আরও কয়েকটা ছেলে। মনে হচ্ছে তামিল মুভির হিরোর এন্ট্রি হচ্ছে। ছেলেটা টি-শার্টের উপর কালো রঙের হুডি পড়া। যা পুরো মাথা ঢেকে রেখেছে আর কপালের উপর সিল্কি চুলগুলো হাটার সাথে সাথে আছড়ে পড়ছে। চুলগুলো একদল কোরিয়ান হিরোদের মতো। তবে বডি ফিটনেস, ফেসকাটিং তামিল হিরোদের মতো। ফর্সা মুখে খোচাখোচা দাড়ি। চোখগুলো খুব গভীর।মেহের ছেলেটার দিকে হা করে চেয়ে আছে। ছেলেটা যতই এগিয়ে আসছে মেহেরের বুকের ধুকধুকানি বাড়তেই লাগলো। ছেলেটা এসে পাকা করা বসার জায়গায় বসে পড়লো। মেহের খেয়াল করলো ওর সাথে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েগুলোও ছেলেটার দিকে হা করে চেয়ে আছে।ওর কেমন হিংসা হচ্ছে। মেয়েগুলোর চাহনি সহ্য হচ্ছে না। ছেলেটার কোনো দিকে খেয়াল নেই। সে একটা সিগারেট বের করে মুখে রেখে লাইটার দিয়ে জ্বালালো। কিছুক্ষণ টানার পর ধোঁয়া ছাড়তে লাগলো। মেহেরের ব্যাপারটা ভালো লাগলো না। এত সুন্দর একটা ছেলে সিগারেট খেয়ে মেহেরের মনটাই ভেঙে দিলো। হুট করেই ছেলেটার প্রতি ভালোলাগা উবে গেলো। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলো যে ক্রাশ খেয়ে ফেলে হজম করে দিয়েছে ওয়াশরুমে গিয়ে বমি করে সব উগরে দিবে। একটা ছেলের কথায় ওর ভাবনায় ছেদ পড়লো।
ছেলেঃ - এই যে হিজাব কন্যা, একটু ড্রান্স করো দেখি।
- মেহের চোখ বড়বড় করে ছেলেটার দিকে তাকালো। ফায়াজের ফ্রেন্ড ইমরুল বললো...
ইমরুলঃ - ওই দেখিস না আপুনি হিজাব পড়া। আপুনি তুমি একটা গান ধরো। হেব্বি একটা হিন্দি গান। নেও নেও শুরু করো।
- মেহেরের ভয়ে গলা শুখিয়ে যাচ্ছে, হাত-পা কাপতে শুরু করলো। মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছেনা। ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না শুরু করে দিলো। শুধু কাদছেই না, কান্নার সাথে সাথে বাচ্চাদের মতো ঠোঁট ফুলাচ্ছে। ছোট বাচ্চাদের যদি কেউ ধমক দেয় তখন বাচ্চাটি প্রথমে অভিমানী চেহেরা করে ঠোঁট ফুলায় তারপর কান্না শুরু করে। মেহের ও তাই করছে।
ফায়াজের এবার মেহেরের দিকে নজর পড়েছে। ওর ঠোঁট ফুলানো কান্না দেখে ফায়াজের হাতের সিগারেট পড়ে গেলো। ও দাঁড়িয়ে পড়লো। মেহেরের দিক থেকে ওর চোখ সড়ছেই না। মনে হচ্ছে অন্য জগতে হারিয়ে যাচ্ছে। অদ্ভুৎ ফিলিংস হচ্ছে। হার্টবিট হটাৎ করে বেড়ে গেলো। সারা শরীরে অজানা কারেন্ট বয়ে গেলো। বুকের বা পাশে হাত রেখে ধুকধুকানি অনুভব করে মুচকি হাসি দিয়ে বললো, ওহহ,নো!!
পর্ব-৯
- ফায়াজ মেহেরের দিকে এগিয়ে আসে। তারপর ইমরুলের কাধে হাত রেখে বললো...
ফায়াজঃ - ওকে ছেড়ে দে। বাচ্চা মেয়ে কেদে কেটে চোখের কাজল নষ্ট করে ফেলেছে।
- একথা শুনে মেহের কান্না থামিয়ে মাথা উচু করে ফায়াজের দিকে তাকালো। দুজনের চোখে চোখ পড়লো। ফায়াজ যেন ওর চোখে আটকে গেছে। চোখের গভীরতায় ডুবে যাচ্ছে। আর কিছুক্ষণ থাকলে হয়তো মারা পড়বে। তাই চোখ সড়িয়ে নিলো। ফায়াজের ফ্রেন্ড ইমরুল বললো...
ইমরুলঃ - ইউ ক্যান গো নাও। বন্ধুর জন্য ছাড়া পেয়ে গেলে।
- মেহের পিছু ঘুরে হাটা শুরু করলো। ফায়াজ ওকে ডাকলো...
ফায়াজাঃ - এই কাদুনি মেয়ে।।
- মেহের পিছু ঘুরে ভয়ে ভয়ে ফায়াজের দিকে এগিয়ে গেলো। তারপর মাথা নিচু করে বললো...
মেহেরঃ - জ্বী বলুন।
- ফায়াজ মেহেরকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত একবার চোখ বুলিয়ে টিস্যু এগিয়ে দিলো। মেহের একবার ফায়াজের দিকে চেয়ে টিস্যু হাতে নিয়ে নাক মুছে ফেলে ফায়াজকে ধন্যবাদ দিয়ে হাটা ধরলো। ফায়াজ হতবাক হয়ে মেহেরের দিকে চেয়ে রইলো। যাক বাবা, চোখ মুছতে দিলাম আর নাক মুছে চলে গেলো। ফায়াজের বন্ধুরা সবাই এক সাথে উচ্চস্বরে হেসে দিলো। ইমরুল বললো...
ইমরুলঃ - এই মেয়ে তো তোকে ঘোল খাইয়ে চলে গেলো।
- ফায়াজ এই প্রথম কোনো মেয়েকে টিস্যু দিলো আর মেয়েটা নাক পরিস্কার করে চলে গেলো?? নাক?? হাহা!!
ফায়াজ সবার দিকে রাগী দৃষ্টি দিয়েই সবাই হাসি বন্ধ করে দিলো। মেহের ওয়াশরুমে গিয়ে মুখ ধোয়ে কাজল ঠিক করে নিলো। আর তখনই ওর মনে পড়ল তামিল হিরোর কথা। আর আনমনে বলে উঠলো...
মেহেরঃ - উনি আমাকে ছেড়ে দিলেন? কিন্তু কেন? আমার কাজলের দিকেও তার নজর ছিলো। ভাগ্যিস ওদের হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করেছিলো নয়তো কি যে হতো??
আমিও না কেদে ফেললাম। তাছাড়া আর কি ই বা করতাম। যাই হোক কেদে-কেটে মামলা জিতে গেছি।
হায় আল্লাহ!! আমি কি করেছি? আমাকে টিস্যু দিলো আর আমি চোখ না মুছে নাক মুছে চলে এলাম? ছিঃ। আমি কি গাধা হয়ে গিয়েছিলাম।নাক মুছেছি?? আমাকে কি ভাববে সবাই? নিশ্চয়ই সবাই হাসাহাসি করেছে।
- মেহেরের এখন খুব লজ্জা লাগছে।
রাতে ফায়াজ দুচোখের পাতা এক করতে পারছেনা। যখনি চোখ বন্ধ করছে মেহেরের কান্নারত মুখটা বারবার ভেসে উঠছে। ঠোঁট ফুলিয়ে একটা লাল পরী কাদছে। চেহেরাটা ঠিকঠাক মনে করতে পারছেনা। কিন্তু ওই লেপ্টে থাকা কাজল, ফুলানো ঠোঁট আর ঠোঁটের নিচে তিলটা স্পষ্ট মনে আছে। মনে হয়না এগুলো কখনো ভুলতে পারবে। প্রচন্ড অস্থিরতা নিয়ে উঠে বসে পড়লো।
উফফ, এভাবে ঘুমানো যায়? সামান্য একটা মেয়ে এভাবে আমার ঘুম কেরে নিতে পারলো? কিভাবে সম্ভব? এই মেয়েকে এখন আমার ঠাটিয়ে চড় মারতে ইচ্ছে করছে। কে বলেছিলো এভাবে ঠোঁট ফুলিয়ে কাদতে? আগামীকাল যদি ওই মেয়েকে দেখি প্রথমেই ঠাটিয়ে একটা চড় মারবো। ফাজিল মেয়ে কোথাকার ফায়াজের ঘুম কেড়ে নেওয়া??
অপরদিকে মেহের তার কলেজ পড়ুয়া ছোট বোন মিহুকে টিস্যু দিয়ে নাক মুছার কথা বলছে আর দুবোন হাসিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
পরেরদিন ফায়াজের কোনো কাজেই মন নেই। সকাল সকাল কলেজে গিয়ে উপস্থিত। বন্ধুরা এত সকালে ওকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো।
ইমরুলঃ - তুই এত তাড়াতাড়ি সব ঠিকঠাক তো?
ফায়াজঃ - হুম।
- ফায়াজ আর কিছু না বলে সিগারেট জ্বালালো। আর এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। ওর চোখ মেহেরকে খুজছে। আজ কেউ কিছু সংখ্যক ছেলে-মেয়ে জড়ো করেছে কিন্তু ফায়াজের সেদিকে খেয়াল নেই। ও এদিক সেদিকে মেহেরকে খুজছে।
ফায়াজাঃ - দোস্ত তোরা থাক।আমি একটু আসছি।
- ফায়াজ গেটের কাছাকাছি এসে দাড়িয়ে আছে। যাতে মেহের ঢুকলেই ওকে দেখতে পায়। অনেক ক্ষন দাঁড়িয়ে থাকার পরও মেহেরকে দেখতে পেলো না। কারণ ওর পুরো চেহারা ওর কাছে স্পষ্ট নয়। চোখ, ঠোঁট আর তিল ছাড়া। ফায়াজ আবারো চোখ বন্ধ করে মেহেরকে মনে করার চেষ্টা করছে। লাল ড্রেস আর কালো হিজাব পড়া কিন্তু পুরো চেহারা মনে পড়ছে না। তাই ও কালো হিজাব খুজতে লাগলো। কিন্তু এতেও দেখা না মিললে হতাশ হয়ে ফিরে এলো।
পুরো দিন চাপা অস্থিরতা মধ্যে কাটালো। কাউকে কিছু বলতেও পারছেনা। কোন ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্ট তাও জানা নেই।
দুপুর ২টা কলেজ ছুটির সময় মেহের ওই তামিল হিরোকে দেখতে পেলো আর তখনই গতকালের ওই টিস্যু দিয়ে নাক মুছার কথা মনে পড়ে গেলো। লজ্জায় মেহের অন্য দিকে চেয়ে হাটা ধরলো। হটাৎ করেই ফায়াজের নজর পড়লো ওর দিকে। কেমন চেনা চেনা লাগছে। নীল ড্রেস, নীল হিজাব তাই কিছুটা কনফিউজড। তবুও ডাকলো...
ফায়াজাঃ - ওই নীল ড্রেস?
- সব মেয়েরা ফায়াজের দিকে দৃষ্টিপাত করছে। কিন্তু ফায়াজের সেদিকে খেয়াল নেই, সে তো মেহেরকে দেখায় ব্যস্ত। মেহের মনে মনে বলছে...
মেহেরঃ - যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই রাত্রি হয়। একদম বাঘের মুখে এসে পড়লাম। কি করি? যাবো না চলে যাবো?
- এরি মধ্যে ফায়াজের আবার ডাক...
ফায়াজঃ - ওই নীল ড্রেস।
- মেহের বাধ্য মেয়ের মতো ফায়াজের সামনে গিয়ে মাথা নিচু করে দাড়ালো।
ফায়াজঃ - তুমি সেই না টিস্যু দিয়ে নাক মুছেছিলে?
মেহেরঃ - হ্যা।।
- ফায়াজ মনে মনে বলতে লাগলো...
ফায়াজঃ- নীল পড়েছো আর আমি কালো খুজেছি তাই তো পাইনি।
- কি নাম তোমার?
মেহেরঃ - মেহেরিন তাবাসসুম।
ফায়াজঃ - শর্টকাট বলো।।
মেহেলঃ - মেহের।
ফায়াজঃ - নাইচ নেইম। কোন ডিপার্টমেন্ট?
মেহেরঃ - ইকোনমিকস।
ফায়াজঃ - গুড। তুমি এভাবে কাদো কেন?
- মেহের কিছুটা অবাক হয়ে ফায়াজের দিকে তাকিয়ে বললো...
মেহেরঃ - কিভাবে?
- ফায়াজ ধমক দিয়ে বললো...
ফায়াজঃ - কিভাবে জানো না? বাচ্চাদের মতো ঠোঁট ফুলিয়ে? তুমি কি ২বছরের বাচ্চা??
----------
- ফায়াজ আবারও ধমক দিয়ে বললো...
ফায়াজঃ - কথা বলছো না কেন? আমি কি বলেছি শুনতে পাওনি? তুমি কি ২ বছেরের বাচ্চা? আর কখনো তুমি এভাবে কাদবেনা। মনে থাকবে?
- মেহের আবার ফেচফেচ করে কেদে দিলো। শুধু কান্নাই না আবারও ঠোঁট ফুলাতে লাগলো। ফায়াজ তা দেখে মনে মনে বললো...
ফায়াজঃ - হায় আল্লাহ এ কি মসিবত? আমি ওকে এভাবে কাদার জন্য ধমকাচ্ছি আর এই মেয়ে ধমক খেয়ে আবারও সেভাবেই কেদে দিলো।এক কান্নাই তো ভুলতে পারিনি আবার এই কান্না?
এই মেয়ে চুপ। কান্না থামাও। আর যাও।
- মেহের চোখ মুছে মনে মনে হাজারো গালি দিতে দিতে বাসার উদ্দেশ্যে হাটা দিলো। তখনই একটা মেয়ে এসে মেহেরের হাত ধরলো।
সামিরাঃ - হায় আমি সামিরা। তোমার ক্লাসমেট।
মেহেরঃ - হায়, আমি মেহের।
সামিরাঃ - তোমাকে ফায়াজ ভাইয়া কি বললো?
মেহেরঃ - কে ফায়াজ?
সামিরাঃ - তুমি ফায়াজ ভাইয়াকে চিনো না? এই কলেজে এমন কমই আছে যে ফায়াজ ভাইকে চিনেনা।
মেহেরঃ - কে তিনি?
সামিরাঃ - তুমি একটু আগে যার সাথে কথা বলছিলে।
মেহেরঃ - কি??
ImprintPublication Date: 08-16-2021
All Rights Reserved
Comments (0)